Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ মার্চ ২০২৫

রাজশাহী মহানগরীতে সাইবার হ্যাকার পরিচয়ে প্রতারণা, চুরি ও হুমকি: গ্রেপ্তার ১


প্রকাশন তারিখ : 2025-03-17

আরএমপি নিউজ: রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার উপ-শহর এলাকায় এক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামি আরভী ইসলাম (২৮) রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার উপ-শহরের শফিকুল ইসলামের ছেলে।

 

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ আসামি আরভী ইসলাম নগরীর উপ-শহরে গোধুলী টাওয়ারের সিকিউরিটি গার্ডের কাছ থেকে ভুক্তভোগী নারীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে এবং তাকে ফোন করে ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। এরপর সে বিভিন্ন সময়ে ফোনে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ব্যবসা করার জন্য টাকা ধার চায়। ভুক্তভোগী ঐ নারী রাজি না হওয়ায় তাকে বিভিন্ন কৌশলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে। এমনকি আসামি আরভি ভুক্তভোগীর ছেলেকে পড়ানোর কথা বলে তার বাসায় প্রবেশ করে বাসার বিভিন্ন বিষয়সহ  ব্যাংকের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য জানতে চায়। সে কৌশলে বাসার ডুপ্লিকেট চাবি নিয়ে নেয়। আরভী নিজেকে আন্তর্জাতিক সাইবার সিকিউরিটি হ্যাকার পরিচয় দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। বিভিন্ন সময় সে কৌশলে ঐ নারীর ব্যাংক থেকে অনলাইনে টাকা উত্তোলন করে। গত ৮ মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ দুপুরে ভুক্তভোগী বাহির থেকে বাসায় ফিরে দেখেন ওয়ারড্রপের তালা ভাঙা। পরে খোঁজ নিয়ে দেখেন ড্রয়ার থেকে নগদ ২ লক্ষ টাকা ও ৬৫ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে। এ সংক্রান্তে তিনি অভিযোগ দায়ের করলে আরএমপির বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা রুজু হয়।

 

 

আরএমপির বোয়ালিয়া ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো: রিয়াজুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহম্মেদের নেতৃত্বে এসআই মো: আব্দুল আওয়াল ও তার টিম আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।

 

পরবর্তীতে গতকাল ১৬ মার্চ ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ বিকেল ৫ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি আরভীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার কাছ থেকে চারটি স্বর্ণের চুড়ি, একটি ব্রেসলেট, একটি স্বর্ণের আংটি যার সর্বমোট মূল্য ৯ লক্ষ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য মালামাল উদ্ধারে আসামিকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।